
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ৪টি জোট। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। একইসঙ্গে তারা আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে।
ওই ৪টি জোট হচ্ছে- বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট।
এসময় ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, তারা বলেছিলেন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে তার ছিটেফোটাও নেই। আমরা বলেছিলাম ভোট দেয়ার পর হাতে কালি দিতে হবে। না হলে তো বুঝা যাবে না কে ভোট দিয়েছে আর কে দেয়নি।
এছাড়া লিটন কুয়েত মৈত্রী হলে নির্বাচনের আধা ঘন্টা আগে ব্যালট ভর্তি বস্তার কথা উল্লেখ করে বলেন, এস এম হলে ছাত্রলীগের লিফলেটিং বাদে অন্য কাউকে লিফলেটিং করতে দেওয়া হয়নি। রোকেয়া হলে এক ঘন্টা পর ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। রোকেয়া হলে ভোট শুরু হওয়ার আগে সেখানের মেয়েরা ব্যালট বাক্স দেখতে চেয়েছিল কিন্তু প্রভোস্ট সেটা করতে দেননি। পরে ছাত্রলীগ সেখানে গিয়ে হামলা করে।
জিয়া হলে ভোট কারচুপির বিষয়ে তিনি বলেন, জিয়া হলে একবার ভোট দেয়ার পর আবার লাইনে দাঁড়াচ্ছে আবার ভোট দিচ্ছে। মহসিন হলে আমরা ঢুকতে চেয়েছি সেখানে ছাত্রলীগ পুরো জায়গা করে রেখেছে। আমি যখন প্রভোস্টের সাথে এই বিষয়ে দেখা করতে গিয়েছি, তখন কেউ পিছন থেকে আমাকে হামলা করে।
এরপর পরই আল্টিমেটাম দিয়ে ৪টি জোটের পক্ষ থেকে লিটন ডাকসু নির্বাচন বর্জন করে বলেন, অবিলম্বে এই ভোট বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেই সাথে আমারা আমাদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা যে দাবি গুলো করেছিলাম সেই দাবিগুলোর যাথার্থ্যটা এখানে প্রমাণ হয়েছে।
ওই ৪টি জোট হচ্ছে- বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালট বাক্স হতে হবে স্বচ্ছ।
এছাড়াও ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে জোটগুলোর পক্ষ থেকে।