যা’বজ্জী’বন সাজা পাওয়া সেই গাছটির মুক্তি মেলেনি ১২২ বছরেও

সেই গাছটির মুক্তি মেলেনি- ছোটবেলায় পাঠ্যবইতে পড়েছেন- ‘গাছ আমাদের পরম বন্ধু’। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের জীবন অচল। এটি একদিকে নিসর্গের শোভা বৃদ্ধি করে, অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পালন করে অসাধারণ ভূমিকা। মানব সংস্কৃতির বিকাশেও মানুষকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে গাছ। আর এ গাছই কি-না জেল খাটছে ১২২ বছর ধরে।
গাছ নিয়ে ছোটবেলায় পড়া সেই লাইনটি ১৮৯৮ সালে হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা জেমস স্কুইড। তিনি গাছকেই যা’বজ্জী’বন কা’রাদ’ণ্ড দেন। আজও পাকিস্তানের ল্যান্ডি কোটাল সেনানিবাসে শিকল পরিয়ে ব’ন্দি রাখা হয়েছে বটগাছ মহীরুহটিকে।
গাছটির অপ’রাধ কী ছিল জানেন? ম’দ্যপ অবস্থায় একদিন বাড়ি ফিরছিলেন জেমস স্কুইড। পথের মধ্যে হটাৎ তিনি দাঁড়িয়ে যান; দেখেন গাছটি তার দিকে এগিয়ে আসছে। বারবার গাছটিকে এগিয়ে আসতে নিষেধ করলেও নির্দেশ অমান্য করে সেটি এগিয়ে যায় তার কাছে। তার এ গল্প শুনে কেউ বিশ্বাস করেনি, কারণ পুরোটাই ছিল নে’শার ঘোর। তারপরও শেকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় গাছটিকে।
গাছের যা’বজ্জী’বন দিয়ে তিনি থমকে যাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও হু মকি দেয়া হয়, কেউ এই গাছকে মুক্ত করলে তাকেও শা’স্তি পেতে হবে। কালের সাক্ষী হয়ে ল্যান্ডি কোটাল সেনানিবাসে ব’ন্দি অবস্থায় থাকা গাছটি এখনও তাই মুক্তির দিন গুনছে। তার গায়ে লেখা, ‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যা’রেস্ট’।
সূত্রঃ ঢাকা লাইভ