বদ্ধ জায়গায় ২০ ফুট দূরত্বেও ছড়ায় করোনাভাইরাস

বদ্ধ জায়গায় ২০ ফুট দূর থেকেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমন দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরীয় মহামারী বিশেষজ্ঞ ড. লি জু-হিয়ুং। সম্প্রতি তিনি ও তার সহকর্মীরা একটি রেস্তোরাঁয় করোনা সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ড. লি জু-হিয়ুং জানান, গেল জুনে তিনি ও তার সহকর্মীরা জিওনজু শহরের একটি রেস্তোরাঁয় কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে রেস্তোরাঁটিতে ঘটে যাওয়া করোনাভাইরাসের এক সংক্রমণের ঘটনা তদন্ত করেন।
নিজেদের পরীক্ষা নিয়ে তারা লিখেছেন, এ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সংক্রমণকারী ও আক্রান্ত ব্যক্তি উভয়ই সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত দূরত্ব অর্থাৎ ২ মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু তারপরও সংক্রমণ ঘটেছে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে করোনা মোকাবেলায় সক্রিয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পার্টনারস ইন হেলথের কৌশলগত ও নীতিগত প্রধান কেজে সিয়ুং বলেন, বহু দেশে শীতকালে করোনা মোকাবেলায় লকডাউন জারি করা হচ্ছে। কিন্তু ওই পরীক্ষা ঘরের ভেতরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা সংক্রমণের জন্য ‘ক্লোজ কনটাক্ট’ বা ঝুঁকিপূর্ণ দূরত্ব ও সময় হচ্ছে ১৫ মিনিট ও ৬ ফুট। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি রেহাই মেলে না। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত দূরত্বের বিষয়ে সিয়ুং বলেন, জনগণের মধ্যে এ ব্যাপারে বড় ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। তারা ভাবছে, ক্লোজ কনটাক্টে না থাকলে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির সিভিল ও পরিবেশ বিষয়ক প্রকৌশলবিদ্যার অধ্যাপক লিনজে মার বাতাসে করোনার সংক্রমণ নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী মাত্র ৫ মিনিট অবস্থান করেই আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ, সংক্রমণকারী ড্রপলেটটি বাতাসে ২০ ফুট ভেসে থাকার মতো ছোট, আবার সংক্রমিত করার মতো বড় ছিল।
সূত্রঃ যুগান্তর