বগুড়ায় বিপন্ন প্রজাতির ২টি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতির দুইটি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ পৌরসভার আকন্দ পাড়ায় এলাকা থেকে একটি এবং সোমবার বিকেলে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জুরি অনন্তপুর গ্রাম থেকে শকুন দুটি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’ এর সদস্যরা শকুন ২টিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য বগুড়ায় এনেছে। শকুন ২টি সুস্থ ও সবল হলে দিনাজপুরের জাতীয় উদ্যান সিংড়ায় প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জুরি অনন্তপুর গ্রামে একটি শকুনকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় সাংবাদিক উৎপল কুমার মোহন্ত ‘রাজশাহী বন্যপ্রাণী প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও ‘বন বিভাগে’ সংবাদ দেন। বন বিভাগ শকুনটিকে উদ্ধারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারকে (আইইউসিএন) দায়িত্ব দেন। আইইউসিএনের শকুন সংরক্ষণ প্রকল্পের উত্তরবঙ্গের কনসালটেন্ট মিজানুর রহমান শকুন আটকের খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’ সদস্যদের দায়িত্ব দেন।
উদ্ধার কাজে অংশ নেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’ এর কর্মী সাব্বির আহমেদ সাকিল, তৌফিক হাসান, রবিউল ইসলাম রাসেল ও শিবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল ইসলাম সাবু। শকুনটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য বগুড়ায় নেওয়া হয়েছে। একইভাবে মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ পৌরসভার আকন্দ পাড়ায় এলাকা থেকে আরো একটি শকুন উদ্ধার করা হয়।
মিজানুর রহমান বলেন, এই দুটি শকুন হিমালয়ান গৃধিনী জাতের। এরা সাধারণত, নেপালের আশেপাশে এবং হিমালয়ে কাছে বসবাস করে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসতে অনেক সময় লাগে। এসময় তারা খাবার না পেয়ে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই তারা মানুষের নাগালে চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, ‘শকুন ২টি বগুড়ায় তীরের সদস্যদের কাছে আছে। তারা সেবাযত্ন ও খাবার দিয়ে তাদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছে। সুস্থ ও সবল হলেই আইইউসিএনের শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র দিনাজপুরে সিংড়া জাতীয় উদ্যান প্রেরণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টন রিসার্চ (তীর)’ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে উত্তরবঙ্গে কাজ করে আসছে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক