ভারতে হিমবাহ ধসে দেড় শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা

ভারতের চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাখন্ড প্রদেশের চামোলি জেলায় নন্দাদেবী শিখরের কাছে একটি হিমবাহ ধসে ভাটির বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রবিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচারণায় আসামে যান। সেখান থেকে এক টুইট বার্তায় উত্তরাখন্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলে জানান।
উত্তরাখন্ড রাজ্যের মুখ্য সচিব ওম প্রকাশ এএনআই নিউজকে বলেন, হিমবাহ ধসের পর যে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা হয়েছে তাতে অন্তত দেড়শো মানুষ মারা যেতে পারে। হিমবাহ ধসের পর বন্যায় আরও বেশ কয়েক শ মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হিমালয়ের নন্দাদেবী শৃঙ্গের কাছে একটি হিমবাহ বিষ্ফোরিত হওয়ায় তীব্র জলরাশি অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে আকস্মিক বন্যা ডেকে আনে। ওই নদী দুটোতে পানির স্তর হঠাৎ কর কয়েক মিটার বেড়ে যায়। ভাটিতে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্যা আছড়ে পড়ে।
উত্তরাখন্ডের দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর ডিআইজি ঋধিম আগরওয়ালকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দেড়শতাধিক কর্মীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। চামোলি জেলার ওই অঞ্চলে অনেকগুলো রেলপথ ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্পেরও কাজ চলছে। সেখানে যে সব শ্রমিক ও কর্মচারীরা রয়েছেন তাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবেলা টিমের দুই শ কর্মী ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে শুরু করেছেন।
ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ)-র পাঁচটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, যার চারটি গেছে দিল্লি থেকে, আর একটি দেরাদুন থেকে। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ নামে ভারতের যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী চীন-লাগোয়া ওই অঞ্চলটিতে প্রহরার কাজে মোতায়েন, তাদেরও দুটো দল বন্যাবিপর্যস্ত এলাকায় তল্লাসি ও উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে।
সূত্রঃ ঢাকাটাইমস/০৭ফেব্রুয়ারি/কেআই