
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহকে সিপিবি নেত্রী জলি তালুকদের নেতৃত্ব হামলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলে সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহীন রহমান এবং অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন। তদন্ত কমিটিকে ১ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে অমর চাঁদ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জলি তালুকদার ও হকার্স নেতা হযরত আলীর বিরদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। হামলার পর তার একাধিক কিল-ঘুষির চিহ্ন দেখা যায়।
এক বিবৃতি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, এই ধরণের ঘটনা নিন্দনীয়। কোন কমিউনিস্ট নেতার আচরণ এমন হতে পারেনা। কমিউনিস্ট পার্টির মতো সুশৃঙ্খল সংগঠনের নেতাদের মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতার অভাবই এই ধরণের ঘটনার অনুঘটক। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শের যুদ্ধে পরাজিতদের শেষ হাতিয়ার সন্ত্রাস। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ন্যায় বিচার দাবি জানাই।
তবে এরই মধ্যে সিপিবি’র এই তদন্ত কমিটি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা কানাঘুষা। একজন সিপিবি সমর্থক তার ফেসবুক ওয়ালে এই তদন্ত কমিটি নিয় যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো, “ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজের উপর হামলার ঘটনায় সিপিবির তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আছে জলি তালুকদার ঘনিষ্ঠ নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন , অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন। কমিটিতে ৩য় ব্যাক্তি হিসেবে আছেন সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন রহমান। চন্দন ও অঞ্জনের উপস্থিতিতে কমিটির রিপোর্ট জলির অনুকূলে যাবে তা বুঝতে অসম্ভব মেধাবী হতে হয়না। পূর্বেও এরূপ ঘটেছে।
পূর্বের ন্যায় জলি তালুকদারকে পুনরায় নিরপরাধ ও দায়মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।” ফেসবুক পোস্ট লিংক: এখানে ক্লিক করুন
এর আগে গতকাল রবিবারই পল্টনে অনুষ্ঠিত ছাত্র ইউনিয়নের এক কর্মসূচিতে সংগঠনটির কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক জোবায়ের সজলকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও বর্তমান সিপিবি শান্তিনগর শাখার নেতা মঞ্জুর মঈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ছাত্র ইউনিয়নের ৪০তম জাতীয় সম্মেলনে ফয়েজ উল্লাহকে সভাপতি এবং দীপক শীলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়নের ৪১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়।
তবে সংগঠনের এক অংশের দাবি, ওই সম্মেলনে একাধিক গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা বিনষ্ট করা হয়েছে।
পরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শাখার নেতাদের বিভাজন তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে সংগঠনের ‘শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা পরিপন্থি’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈমসহ সাত নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
সূত্রঃ সবারকথা