আবার মুশফিককে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার তামিমের

আাবার মুশফিককে পেছনে ফেলে টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন তামিম ইকবাল। গতকাল টেস্টের শেস দিনে ব্যাট করতে নেমে নিজের আসন ফিরে পান তামিম ইকবাল। এর আগে বুধবার ৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিককে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছিলেন তামিম। ফলে এই টেস্টে তিন তিনবার একে অন্যকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। গত কয়েকটি সিরিজ ধরেই বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে দেশের হয়ে টেস্টের শীর্ষ রান সংগ্রাহকের লড়াই চলছে। গত দেড় বছরে ছ’বার মুশফিক-তামিমের মধ্যে টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের শীর্ষস্থান বদল হয়েছে। বুধবার ৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিককে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছিলেন তামিম। বাংলাদেশের সফলতম ওপেনার থেকে ৬১ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। তামিমের সংগ্রহ ছিল ৪ হাজার ৫৯৮ রান। শুক্রবার তামিমকে টপকে রেকর্ডটি আবারও নিজের করে নিয়েছিলেন মুশফিক। অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস মুশফিকের রান দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬০৫।
ফলে মুশফিকের চেয়ে সাত রান পিছিয়ে ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। গতকাল মুশফিককে হটিয়ে আবারও সেই স্থান নিজের করে নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই লাকমালের একটি বলে বাউন্ডারি মেরে মুশফিককে ছাড়িয়ে যান তিনি। প্রথম ইনিংসে তামিম আউট হয়েছিলেন ৯০ রানে। লংকানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করতে নেমে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তামিম। ওয়ানডে মেজাজের এই ব্যাটিংয়ের সময় ১৩১ বছর আগের একটি রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। আগের ইনিংসে ১০১ বলে ৯০ রান করে আউট হওয়া তামিম দ্বিতীয় ইনিংসেও আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। এদিন মাত্র ৫৬ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
তামিম যখন নিজের পঞ্চাশ পূর্ণ করেন, তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫২ রান। দলের অর্ধশতক পার করা এবং ব্যাটসম্যানের অর্ধশতক হাঁকানোর সময় সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানের (২ রান) রেকর্ড এটি। ১৩১ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলীয় ৫৫ রানের সময় নিজের ফিফটি করে এই রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান জন জেমস লায়েন্স। যদিও ২০১৪ সালে লায়েন্সের রেকর্ডটি স্পর্শ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ বলে ফিফটি করে এই রেকর্ড স্পর্শ করেন গেইল। গতকাল ওই দুজনকে টপকে এই রেকর্ড নিজের করে নিলেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে অর্ধশতকের স্বাদ পান তিনি। তামিম যখন পঞ্চাশ পূর্ণ করেন, তখন দলীয় স্কোর ৫২।
সূত্রঃ দৈনিক সংগ্রাম