‘নৃত্য শিল্পের কারণে আমি অঞ্জনা’

আজ আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯২ সালে দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে। আর ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব নৃত্য দিবস।
নৃত্যের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নন্দিত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। তিনি জানান, নৃত্যে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজয়া-এটা অসংখ্যবার পরীক্ষিত।
এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই নৃত্য শিল্পের কারণে আমি অঞ্জনা, নৃত্য শিল্পী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবার কারণেই চলচ্চিত্রে পদার্পণ ছিল আমার সুপ্রসন্ন। বাংলা চলচ্চিত্রের আমি একমাত্র নায়িকা যে প্রথম চলচ্চিত্রে আমার নামের পাশে নবাগতা টাইটেল ব্যবহার করা হয়নি। কারণ সেই ছোট্ট বয়স থেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশ ও ভারতে সাড়া জাগানোর ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী হিসেবে আমি পরিগণিত হই। তারই সুফল স্বরূপ চলচ্চিত্রে আগমন ছিলো আমার সহজ স্বাধ্য।’
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অঞ্জনা বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রে আমার পদার্পণের লক্ষে আমি চির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি বাংলা চলচ্চিত্রের আমার ওস্তাদ কিংবদন্তী চিত্রনায়ক ড্যাসিং হিরো মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ভাইয়ের প্রতি কারণ নৃত্য আমার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্যই তিনি আমাকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে আগমন করান।’
নাচের জগতে নিজের অর্জন উল্লেখ করে অঞ্জনা বলেন, ‘নৃত্যশিল্পে আমি তিনবার জাতীয় পুরস্কার। ১০ বার আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পীর পুরস্কার অর্জন করি। তার মধ্য একবার সমগ্র এশিয়া মহাদেশের মধ্য প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিযোগীর মধ্য একমাত্র আমি বাংলাদেশ থেকে চ্যাম্পিয়ন হই যেটা ১৯৭৯ সালে। এ ছাড়া মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ডান্স কম্পিটিশন চ্যাম্পিয়ন হই ১৯৮২ সালে। সার্ক ডান্স ফ্যাস্টিবাল চ্যাম্পিয়ন ১৯৮৬। উপমহাদেশীয় ডান্স কম্পিটিশন ১৯৮৮। ব্রিটিশ ডান্স ফ্যাস্টিবাল ১৯৯১। নিউইয়র্ক লসএঞ্জেলস ক্ল্যাসিকাল ডান্স কম্পিটিশন ১৯৯৪। দক্ষিণ এশিয় ফোক ডান্স ফ্যাস্টিবাল ১৯৯৮ জাপান ত্রিদেশীয় ডান্স কনফারেন্স ২০০৩সহ আরো অসংখ্য পুরস্কার।’
সূত্রঃ আমাদের সময়