ফিলিস্তিনিদের জন্য ভয়ংকর এক দিন

ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর গতকাল রোববার ছিল ভয়াবহ দিন। গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১৬ নারী, ১০ শিশুসহ ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল রাতে এক ঘণ্টা ধরে দেড় শতাধিক রকেট বৃষ্টির মতো ছোড়া হয়েছে। জরুরি সহায়তা দল ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা উপত্যকার আল-ওহেদা শহরকে কেন্দ্র করে ৭০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও সড়ক পুরোপুরি বা কোথাও কোথাও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু গত সপ্তাহে। জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। বলা হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। বড় ধরনের সংঘর্ষের সূচনা হয় গত সোমবার পূর্ব জেরুজালেমে। সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ২০০ জন হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৫টিই শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় তিনটি ভবন ধসে গেছে।
ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে ফিলিস্তিনে জ্বালানিসংকট দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, এর কারণে ফিলিস্তিনের হাসপাতাল ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়বে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মিডল ইস্ট পিস প্রোসেসের ডেপুটি স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর লিন হেস্টিংস বিবিসিকে বলেন, তিনি ইসরায়েলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ দেশটির বাইরে থেকে জ্বালানি এনে তা সরবরাহ করুক। কিন্তু ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ বলেছে, এটা নিরাপদ নয়।
সূত্রঃ প্রথম আলো