টিকার অপেক্ষায় বাড়ছে শঙ্কা ফুটবলারদেরও

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় টিকা পাওয়ার কথা বিভিন্ন জাতীয় দলে খেলা ১০ হাজার খেলোয়াড়ের। বিসিবির উদ্যোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সেই শ্রেণিতে আরও আগেই টিকা পেয়ে গেছেন। জাতীয় দলের ফুটবলারদের টিকা নিতে না পারার কারণ হিসেবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম বলেছেন খেলোয়াড়দের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কথাই, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের করোনার টিকার আওতায় আনতে চেয়েও আমরা পারিনি। কারণ, তখন তারা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারেনি।’ একই কারণে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ছাড়া জাতীয় নারী ফুটবল দলেরও অন্য কেউ টিকা নিতে পারেননি। তবে পরে জাতীয় দলের ১৯ জন খেলোয়াড় জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিলে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে তাঁদের নাম নিবন্ধন করা হয়। বাফুফের আশা, পরবর্তী ধাপেই এই ফুটবলাররা টিকা পেয়ে যাবেন।
এমন নয় যে টিকা নিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকবে না। কিন্তু তাতে অন্তত গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিটা কমে। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের মতো প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ক্লাবগুলো জৈব সুরক্ষাবলয়েও থাকছে না। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়াটাই তাই এখানে যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের টিকা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বিভিন্ন দেশ বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করছে। ফুটবলারদের টিকা নেওয়াটা সে কারণেও জরুরি।
সূত্রঃ প্রথম আলো