তাঁরা যখন নায়ক-নায়িকা


দায়মুক্তি নামের একটি সিনেমায় প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করছেন এই দুই গুণী প্রবীণ শিল্পী। কোনো পার্শ্বচরিত্র নয়, সিনেমায় তাঁরাই প্রধান পাত্রপাত্রী। অনুদানের এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে সম্প্রতি। দিলারা জামান বলেন, ‘আশির দশক থেকে আমাদের পরিচয়। সেই থেকেই হায়াত ভাই আমাকে স্নেহ করেন। আবুল হায়াত আমার ছোট, কিন্তু তিনি আমার অভিভাবক, ভাই। তিনি এখন আমার আপন ভাইয়ের মতো। তাঁর সঙ্গে যেকোনো অভিনয়ের সুযোগ পেলেই ভালো লাগে। অভিনেতা হিসেবেও তিনি তুলনাহীন। এমন মানুষ হয় না।’
আবুল হায়াত বলেন, ‘দিলারা আপার সঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করা হয়েছে। কিন্তু সেভাবে একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি। আমরা অনেক দিনের পুরোনো সহকর্মী। একসঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হলে ভালো লাগে। অনুদানের সিনেমা করছি। আশা করছি, এটাও দর্শকদের ভালো লাগবে।’

আবুল হায়াত ও দিলারা জামান পরিবারের মধ্যে এখন নিয়মিত যোগাযোগ হয়। করোনার শুরু থেকেই নিয়মিত পরস্পরের খোঁজখবর নিতেন তাঁরা, সচেতন থাকার পরামর্শ দিতেন পরস্পরকে। এমনও হয়েছে, করোনায় আর দেখা হবে কি না, সেই নিয়ে ফোনে আফসোস করেছেন দুজন। আবুল হায়াতের করোনার কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন দিলারা জামান।
সিনেমাজগৎ নিয়ে কিছুটা ক্ষুণ্ন আবুল হায়াত। একসময় ভেবেছিলেন সিনেমায় অভিনয় করবেন না। কিন্তু পরে সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। তখন ভালো কোনো গল্প তিনি পাননি। অনেকেই তাঁকে ডাকেননি। তিনি বলেন, ‘সিনেমায় আমাকে প্রপারলি ব্যবহার করা হয়নি, এটাই আফসোস। হয়তো আরও অনেক কিছু দিতে পরতাম। এখনো ভালো গল্প পেলে অভিনয় করব।’ তিনি আরও বললেন, এই সিনেমার শুটিং আগেই হওয়ার কথা ছিল। সে সময় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর জন্য নির্মাতা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে ছিলেন। গল্পে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ায় পরিচালকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবুল হায়াত।

দায়মুক্তি পরিচালনা করছেন বদিউল আলম খোকন। দুজন বৃদ্ধ–বৃদ্ধাকে পরিবার থেকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয়। ২০১৭-১৮ সালে সিনেমাটি অনুদান পায়। ছবিতে আরও অভিনয় করছেন সুচরিতা, সাইমন প্রমুখ।
সূত্রঃ প্রথম আলো