
জনস্বার্থ উপেক্ষা করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আহুত ৭ জুলাই হরতাল বিষয়ে আগামীকাল বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলন
আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য মাসে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা দিতে হবে, যা এতোদিন ছিল যথাক্রমে ৭৫০ টাকা ও ৮০০ টাকা।
গৃহস্থালিতে মিটারে যারা গ্যাসের বিল দেন, তাদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের ব্যবহারের জন্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা করে দিতে হবে। এতোদিন প্রতি ঘনমিটারে তাদের বিল হত ৯ টাকা ১০ পয়সা।
অর্থাৎ, রান্নার গ্যাসের জন্য চুলাভিত্তিক গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২৩ শতাংশ এবং মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের ৩৮ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ হবে।
যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম সোমবার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩ টাকা হবে।
এই হিসাবে গাড়ির গ্যাসের জন্য মালিকদের খরচ বাড়বে সাড়ে ৭ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই গণপরিবহনে এর প্রভাব পড়বে; এর মাসুল দিতে হবে যাত্রীদের।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৫ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।
এর ফলে শিল্পোৎপাদনে খরচ বাড়বে। আর ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকেই তা আদায় করবেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রোববার বিকালে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয়।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, ভারিত গড়ে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৭ টাকা ৩৮ পয়সা থেকে ৩২.৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় সেই তেল বিক্রি করে গত কয়েক বছর ধরেই লাভ পাচ্ছে সরকার। ফলে গ্যাস আর বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হলেও সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সরকারকে গত অর্থবছরে কোনো ভর্তুকি গুণতে হয়নি।
তারপরও আমদানি করা তরলীকৃত প্রকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ায় যে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তা সমন্বয় করতে এবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হল।
জনস্বার্থ উপেক্ষা করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর দাবিতে এবং গণদুর্ভোগের বাজেটের প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী ৭ জুলাই রবিবার দেশব্যাপী অর্ধদিবস (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত) হরতালের ডাক দিয়েছে।
হরতাল বিষয়ে আগামীকাল ২ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, সকাল ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের ৫ম তলায় মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।