খাবারের ফরমালিন ও কীটনাশক মুক্ত হবে কার্বন গ্রিনে

বিষযুক্ত খাবারের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে দেশের জনস্বাস্থ্য। এ ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে ও খাবারকে নিরাপদ করতে সোডিয়াম বাই কার্বনেট এবং অত্যন্ত সক্রিয় কার্বনের সঠিক অনুপাতে সংমিশ্রণ ব্যবহার করলে খাদ্যদ্রব্য ফরমালিন ও কীটনাশক মুক্ত করা সম্ভব।
এ ধরনের বিষ থেকে খাবারকে মুক্ত করতে লাইফ অ্যান্ড হেলথ বাজারে এনেছে ‘কার্বন গ্রিন’। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেড এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় জানানো হয়, কার্বন গ্রিন মূলত বিভিন্ন কার্বনের মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের পাউডার- যা পানিতে গুলিয়ে সেই পানিতে ফল-মূল-শাক-সবজি ধুয়ে নিলে তার উপরিভাগে লেগে থাকা কীটনাশক ও ফরমালিন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মুক্ত করা সম্ভব।
অন্যদিকে লবণ-পানি, ভিনেগার কিংবা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহারে ফলমূল ও শাক-সবজি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কীটনাশক ও ফরমালিন মুক্ত হয়।
লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. শক্তি রঞ্জন পাল বলেন, বেশি ফলনের জন্য খাদ্যশস্য ব্যবহার করা হয় কীটনাশক আর তা দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের আশায় ব্যবহার করা হয় ফরমালিন। দিনে দিনে এগুলোর ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশের কৃষি পণ্যে কীটনাশকের ব্যবহার ৩২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। ফসল ভেদে সহনশীল মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ৩১ গুণ বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
ডা. শক্তি বলেন, খাদ্যের মাধ্যমে এসব কীটনাশক ও ফরমালিন গ্রহণের কারণে ক্যান্সার, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, গর্ভপাত, জন্মগত ত্র“টি, অটিজম, আলঝেইমার, পুরুষদের যৌন ক্ষমতা হ্রাস, হৃদরোগ ও ফুসফুসজনিত রোগ হয়ে থাকে। এমনকি মৃত্যু ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।
কার্বন গ্রিন ব্যবহারের উপায় সম্বন্ধে তিনি বলেন, ৮ গ্রামের এক প্যাকেট কার্বন গ্রিন পাউডার দিয়ে ১০ কেজি শাক-সবজি ফলমূল ও মাছ ধোয়া সম্ভব। সোডিয়াম বাই কার্বনেট রাসায়নিক দ্রব্যগুলো দ্রবীভূত করবে এবং এক্টিভেটেড কার্বন শুষে নেবে। এ পদ্ধতিতে শাক-সবজি, ফলমূল ও মাছ বিষমুক্ত করা সম্ভব হবে।
তবে কার্বন গ্রিন দিয়ে এসব খাদ্যের ভেতরে প্রবেশ করা কীটনাশক ও ফরমালিন দূর করা সম্ভব হবে না।
সূত্রঃ সংগ্রহীত