
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণের দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত জায়েদ-নিপুণ দু’জনের কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
তবে বৃহস্পতিবার (১০ ফ্রেব্রুয়ারি) অভিনেতা জায়েদ খান অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী আদালতের আদেশ অমান্য করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেছেন। জায়েদ বলেন, ‘‘সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে বসা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ওই পদে ‘স্থিতাবস্থা’ দিয়েছেন আদালত। ১৩ তারিখ পর্যন্ত আদালত ‘স্থিতাবস্থা’ দিয়েছেন, তারা কি এর মানে জানে না?’’
নিপুণ আরও বলেন, যেদিন আমি শপথ নেই সেদিনই আমার নেমপ্লেট তৈরি করা হয়েছিল। আর আজ সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারাদিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি। কমিটির কেউ হিসেবে নয়। এছাড়াও সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আজ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরের জন্মদিন উদযাপন করেছি।’
- তারকাবহুল ধারাবাহিক ‘দৌড়-দ্য ট্রেন্ডি’June 19, 2022
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়। এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
এর পর গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।