
নাটোরে গত ছয় দিনে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছে, তাঁরা আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোরাচালন চক্রের সদস্য। এক জেলার মোটরসাইকেল চুরি করে অন্য জেলায় পাঠাতেন তাঁরা। আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সম্প্রতি জেলায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। এ কারণে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি পৃথক দল গঠন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে পারদর্শী এই দলের সদস্যরা মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাস্থলের মুঠোফোন টাওয়ারের কল বিশ্লেষণ করে চোর চক্রের সন্ধানে নামেন। বিভিন্ন সড়কের তল্লাশিচৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও এ বিষয়ে জানানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের তৎপরতা চালানো হয়। জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নওপাড়া বাজার এলাকা থেকে আন্তজেলা চোর চক্রের সদস্য আল আমিন ওরফে হিরাকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মোটরসাইকেল চুরির পরপরই তাঁরা এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় পাঠিয়ে দেন। এতে মোটরসাইকেল মালিকের পক্ষে মোটরসাইকেল শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
লিটন কুমার সাহা জানান, আল আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ওরফে পলামকে (২৮) এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী গ্রামের নির্মল সরকারকে (৩০) গ্রেপ্তার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলগুলোর প্রকৃত মালিকানা যাচাই–বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে মালিকানা নির্ধারণ করার বিষয়টি জটিল বলে মনে করেন পুলিশ সুপার।
সূত্রঃ প্রথম আলো