
সারাদেশে গ্রেফতার, হামলা, হুমকি, পল্টন মোড়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের উপর্যোপরী বাধাদান, উসকানী সৃষ্টি জলকামান, সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ উপেক্ষা করে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আজ ২৮ মার্চ, সোমবার বাম জোট আহূত দেশব্যাপী হরতাল সমর্থন ও সফল করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
এ প্রসঙ্গে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় সীমিত হয়ে যাওয়ার সময়ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।বরং সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে।এমনকি দেশের মানুষের কথা উপক্ষো করে অযৌক্তিক ভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দামবা ড়ানোর পাঁয়তার করছে।এর বিরুদ্ধে জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে, জনগণকে উপহাস করছে সরকারের মন্ত্রীরা। এর বিরুদ্ধে হরতালের মধ্য দিয়ে মানুষ তাদের রায় ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হরতালের আগে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাওঁসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়েছে। ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মাইক ভাড়া দিতে নিষেধ করা হয়েছে।গাইবান্ধা, ঠাকুরগাওঁ, খুলনা ও ঢাকায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ঢাকার পল্টন মোড়, মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তারপরও সিপিবিসহ বাম জোটের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য ধরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে হরতাল সফল করেছে।
পুলিশের হামলায় পল্টন মোড়ে আহতদের মধ্যে রয়েছেন সিপিবি’র শিল্পীআক্তার, হযরত আলী, হোসেন আলী, মিয়া মো. জুয়েল, নুরুল ইসলাম গাজী, ছাত্রনেতা দীপক শীল, সুমাইয়া সেতু, সালমান রাহাত, মহিউদ্দিন রুমি, প্রিজম ফকির,আরমান, রাইসা, শাওন বিশ্বাস, রাকিব হাসান সুজন, কাওসার আহমেদ রিপন,শিতাংশু ভৌমিক অংকুর। এছাড়া মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় আহত হন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা ডা.সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা উত্তর এর শরিফুল আনোয়ার সজ্জন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল,আলী কাউসার মামুন ,খন্দকার হিরক,আসাদুজ্জামান আজীম, যুবনেতা আবু হাসান প্রমূখ।
বিবৃতিতে,দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্য পণ্যের বাফার স্টক,উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, পর্যাপ্ত ন্যায্য মূল্যের দোকান, রেশনিং চালু ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙ্গার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য সকাল ৬টা থেকে কমিউনিস্ট পার্টি নেতা কর্মীরা পল্টনসহ সারা দেশে হরতালের সমর্থনে রাজপথে ছিলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে পার্টির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধরণ সম্পদাক কমরেড মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন,কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ, কমরেড আবদুলাহ ক্বাফী রতন, কমরেড ডা. ফজলুর রহমান, কমরেড অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, কমরেড অ্যাড. মাকসুদা আক্তার লাইলি, কমরেড রাগিব আহসান মুন্না, কমরেড অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কমরেড হাসান তারেক চৌধুরী সোহেল, কমরেড লুনা নূর, কমরেড জলি তালুকদার, কমরেড আসলাম খানসহ নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।