
আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে গার্মেন্টসহ সকল খাতের শ্রমিকদের ঈদ বোনাসসহ যাবতীয় বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ত ঘামে অর্জিত ন্যায্য পাওনা পরিশোধ নিয়ে তালবাহানা বন্ধ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ-মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চ ভুঁইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি-মার্কসবাদীর বিধান দাস প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন কম দেওয়া বা কোনো যুক্তিতে বেতন কর্তন করা যাবে না। বেতন ভাতা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, কোনো দয়া দাক্ষিণ্যের বিষয় নয়। এরপর করোনাকালে সরকার ও মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অমানবিক পদক্ষেপের কারণে শ্রমিকেরা গত দুই বছর ভালোভাবে ঈদ করতে পারেনি। এমনকি খাদ্যপণ্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমেছে। তারা যে বেতন পায় তা দিয়ে মাসের ১৫ দিন চলাও কঠিন। তাই সকল বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ ঈদের আগে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকলসমুহের শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধেও দাবি জানান। একই সাথে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সূত্র: কালের কণ্ঠ