ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন শুরু

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতে জাতীয় নির্বাচন শুরু হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে যেটিকে বলা হয় লোকসভা নির্বাচন। ভারতের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এত বড় নির্বাচন এর আগে কখনো হয়নি।
সাত দফায় অনুষ্ঠিত হওয়া এ ভোটে নির্ধারণ হবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাগ্য।
এনডিটিভি জানায়, নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, আজ শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত ৩৮ দিন ভোট গ্রহণ চলবে। ফলাফল প্রকাশ হবে ২৩ মে।
দেশটির ২০টি রাজ্য ও অঞ্চলে ৯১টি সংসদীয় আসনে প্রায় ৯০ কোটি ভোটার এবার ভোট দেবেন। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি তবে ২০১৪ সালে নতুন ভোটার সংখ্যা ছিল ২৭ কোটিরও বেশি। ১৮- ১৯ বছর বয়স এমন ভোটার সংখ্যা দেড় কোটির কাছাকাছি।
এবার সারাদেশে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি গণনা কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। মোট ১১ লাখ ইভিএমে নিজেদের মত জানাবেন ভোটাররা। এর মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বে রেকর্ড করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি।
গতবারের থেকে এবার ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। ২০১৪ সালে দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৮২টিতে জিতে সরকার গঠন করে বিজেপি। পরাজিত হয় কংগ্রেস।
জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় এবং আয়তনের দিক থেকে সপ্তম ভারতের ভোট অংশ নিচ্ছে ১৮৪১টি রাজনৈতিক দল। প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় আট হাজার।
নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ (সিএমএস) বলছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন ঘিরে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি রুপি বা ৭০০ কোটি ডলার। এর ফলে ভারতবাসী এবার বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচনের রেকর্ড সৃষ্টি করছে। এই খরচ ২০১৪ সালের নির্বাচনের খরচের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। ওই নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ৫০০ কোটি ডলার।
সিএমএসের চেয়ারম্যান এন ভাস্করণ রাও বলেন, খরচের বেশির ভাগই হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, রাজনীতিবিদদের দেশজুড়ে ভ্রমণ ও বিজ্ঞাপনে।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর