
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ প্রবল
শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। আজ সোমবারও বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ঘূর্ণিঝড়টি এখনও বাংলাদেশের উপকূল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ১ হাজার কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকার উপর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করবে ফণী। ১ ও ২ মে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরালার কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ৩ মে থেকে ওড়িষ্যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। অর্থাৎ ঠিক কোন সময়, কত গতিতে আছড়ে পড়বে তা জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দফতর।
সু্ত্র:Breaking 24 News